বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘নিশি’ জিতে নিলো সম্মানজনক ইএমএ অ্যাওয়ার্ডসের পুরস্কার।
গোলাম রাব্বানী ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (কোচি) পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি এর আগে ইতিহাস গড়েছিল—প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পেয়েছিল পরিবেশবিষয়ক মর্যাদাপূর্ণ Environmental Media Association (EMA) অ্যাওয়ার্ডসে, যার ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এবার সেই মনোনয়নকে সার্থক করে ‘নিশি’ জয় করেছে IAFM – ইকো ফিল্ম ল্যাব রেসিডেন্সি বিভাগে পুরস্কার।
খুশির খবরটি জানিয়ে নির্মাতা গোলাম রাব্বানী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন,
“এটা সত্যিই আনন্দের সংবাদ। আমাদের চলচ্চিত্র ‘নিশি’ ৩৫তম ইএমএ অ্যাওয়ার্ডসে পুরস্কার পেয়েছে। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি সিনেমা এ সম্মান অর্জন করেছে—এটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক গৌরবের অধ্যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“আমার প্রযোজক বিবেশ রায় ও নাটালিয়া পোসনিককে আন্তরিক ধন্যবাদ—তাদের ছাড়া এই চলচ্চিত্রটি এত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। আর আমাদের সাউন্ড ডিজাইনার থোই শাই চোলেন চিল ধরি—তোমাকে ভালোবাসা। এই অর্জন আমাকে ভবিষ্যতে আরও প্রকৃতি ও জীবনের গল্প বলার প্রেরণা দেবে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইন বাংলাদেশ, গ্রিন ফিল্ম স্কুল অ্যালায়েন্স এবং ইউনেস্কো ঢাকা’র সহায়তায় নির্মিত ‘নিশি’ সিনেমাটি এক চা-বাগানের শ্রমিকের কন্যার গল্প, যার শিক্ষাজীবন থমকে যায় পানির সংকটে। সেই সুযোগে এক কাঠ ব্যবসায়ী লালচান টিউবওয়েল বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে বিয়ে করার চেষ্টা করে।
চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে সিলেটের চা-বাগান ও আশপাশের এলাকায়, যেখানে স্থানীয় শ্রমিকরাই অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির কালার গ্রেডিং, ফাইনাল এডিট ও সাউন্ড মিক্সিং সম্পন্ন হয়েছে পোল্যান্ডের বিখ্যাত Łódź Film School-এ, যেখানে চিত্রগ্রাহক নাটালিয়া পোসনিকও অধ্যয়ন করেছেন।
গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, ‘নিশি’ ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি বাংলাদেশের দর্শকদের জন্যও প্রদর্শিত হবে। এর আগে তাঁর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুরত’ ও ‘আনটাং’ ভেনিস ইন্টারকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বুদাপেস্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পেয়েছিল।
#Nishi #BangladeshiCinema #EMAAwards #GolamRabbani
Comments
Post a Comment