আফজল হোসেনের আহ্বান: ‘এখনই দেখুন, নইলে সুযোগ হারাতে পারেন
দেলুপি নিয়ে শিল্পীর মুগ্ধতা
নীরব মুক্তি, কিন্তু তুমুল চমক। মাত্র ছয়টি হলে ১৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসে মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের গ্রামের রাজনৈতিক পটভূমির গল্প "দেলুপি"। প্রচারণার তেমন জোর না থাকলেও যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা যেন অন্যদের টেনে নিচ্ছে হলে। আর এবার ছবিটি নিয়ে নিজে দেখার পর দীর্ঘ প্রশংসায় ভরপুর একটি পোস্ট লিখেছেন অভিনেতা-নির্মাতা-চিত্রশিল্পী এফজল হোসেন।
তার ভাষায়, “অসাধারণ এক ছবি— এরকম সত্যিকারের নির্মাণ আমাদের খুব কমই দেখতে পাওয়া হয়।” তিনি সতর্ক করে বলেছেন, দেশের সীমিত স্ক্রিনে এমন ছবিগুলো বেশিক্ষণ থাকে না। তাই “পরে দেখবো” ভাবলে হয়তো আর সুযোগ মিলবে না।
এফজল হোসেনকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করেছে ছবির নিখাদ মানবিক ভাষা। তিনি লিখেছেন, তাওকীর ইসলাম কোনো বাড়াবাড়ি স্টাইল, নাটকীয়তা বা চেনা ছক ব্যবহার করেননি। বরং চরিত্রগুলোর জীবনযাপন, তাদের নীরব ব্যথা আর ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে যে স্বাভাবিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন— তা তাঁকে মনে করিয়েছে রিমা দাসের “ভিলেজ রকস্টার্স” ও “বুলবুল ক্যান সিং”-এর মতো নিরীহ অথচ শক্তিশালী বাস্তবতাকে।
রাজনীতি ছবির পটভূমি হলেও নির্মাতা কোথাও উপহাস বা নৈতিক বিচার চাপিয়ে দেননি— বরং গ্রামীণ মানুষের দুর্বলতা, আশা ও টিকে থাকার সংগ্রামকে দেখিয়েছেন সম্মান ও সহমর্মিতার সঙ্গে। এটাই, এফজল হোসেনের মতে, ‘দেলুপি’-র সবচেয়ে বড় শক্তি।
ছবির আরেক বৈশিষ্ট্য— পুরো কাস্ট স্থানীয়, কোনো পরিচিত মুখ নেই। এই সিদ্ধান্তটি নির্মাতার পক্ষেই কাজ করেছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “চরিত্রগুলো অভিনীত নয়— যেন বাস্তবেই ছিল। অচেনা মুখগুলোই গল্পটাকে সত্যি করে তুলেছে।”
ছবির একটি সংলাপ— “একই দৃশ্য, একই সিন”— তাঁকে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের তীব্র রূপকে মনে করিয়েছে।
সবশেষে তিনি আবারও আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন: দেলুপি এখনই দেখুন। কয়েকদিন পর হয়তো আর খুঁজেই পাবেন না।
#দেলুপি #AfzalHossain #BanglaCinema #FilmRecommendation

Comments
Post a Comment