অদম্য, অচেনা তুষি।
মেজবাউর রহমান সুমনের ‘রয়েড’–এর ট্রেলার প্রকাশের পর দর্শকরা দেখেছেন নাজিফা তুষির একেবারে ভিন্ন রূপ—এতটাই কাঁচা, এলোমেলো আর বাস্তব যে অনেকেই তাঁকে চিনতেই পারেননি। নামহীন এক চরিত্রে নিজেকে পুরোপুরি মিশিয়ে দিয়ে তুষি যেন পর্দায় এক নতুন সত্তা হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এই রূপান্তর নিয়ে চলছে প্রশংসার ঝড়, আর সেই প্রতিক্রিয়াই তুষির কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তুষির ভাষায়, এই চরিত্রে কাজ করার সময় পরিচালক তাঁকে বলেছিলেন—“মানুষ যদি তোমাকে চিনতে না পারে, তাহলেই বুঝবে তুমি চরিত্রটা হয়ে উঠেছ।” সেই কথাই তাঁকে সাহস দিয়েছে নিজেকে ভেঙে ফেলার। মানসিকভাবে অস্থির এক নারীর চরিত্রে ঢুকতে গিয়ে তিনি অনুপ্রেরণা খুঁজেছেন ঢাকার পথঘাট থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত সীমান্ত ও গ্রামীণ জনপদে বসবাসকারী মানুষের জীবনে।
চরিত্রের বাস্তবতার জন্য তিনি বাদ দিয়েছেন মেকআপ, শ্যাম্পু, এমনকি ফেসওয়াশও। ধুলো, বালি আর কাদাই হয়ে উঠেছে তাঁর সাজ। রাস্তার বাজার থেকে কেনা ঢিলেঢালা পোশাক, খালি পায়ে পাথরের রাস্তা—সবকিছু মিলিয়ে নিজের পরিচিত জীবনকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। লোকেশনেই কাটিয়েছেন দিন-রাত, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে খেয়েছেন, থেকেছেন, এমনভাবে মিশে গেছেন যে আজও তারা তাঁকে মনে করে ফোন করে।
এই কঠিন অভিজ্ঞতার মাঝেই লুকিয়ে আছে এক কোমল প্রেমের গল্প, যা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস তুষির। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় শুটিং, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর প্রতিকূল পরিবেশ—সবকিছুর পরেও ‘রয়েড’ তাঁর জীবনের অন্যতম ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। তুষির জন্য এটি শুধু অভিনয় নয়, বরং সহমর্মিতা, আত্মবিসর্জন আর মানুষ হয়ে ওঠার এক গভীর পাঠ।
* Photo: Sheikh Mehedi Morshed
#নাজিফাতুষি #রয়েড #বাংলাসিনেমা #মেজবাউররহমানসুমন

Comments
Post a Comment